শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭

Is WC3 method is the solution to reduce global warming?

WC3 (We Control Climate Change).

WC3 methodology movement is a practicing method to reduce carbon emissions by spreading knowledge to the personal level and decreasing personal consumer and personal carbon footprints. It's a practical way to gain Mitigation and achieving the climate resilience. 

This movement is intended to remove the root cause of carbon emissions by letting everyone know about their personal contribution of Carbon to nature.

The letter "W" representing the word "We", which is the symbol of the power of bonding. Single persons can put their personal contributions to save the climate, and when every "I" will become as "We" the saving capability will become super speed full to residue our Carbon foot print. This Carbon footprint is represented by the letter "C".


95% of the researches are indicating that 'Lack of knowledge' about personal contribution in Climate Change. We are taking part in this procedure to increase climate change effect without our knowledge and concern. To stop their WC3 method is very much effective. Cause into this method, people get to know about the data and facts about their personal contribution and solutions with basic knowledge and practical work.

This WC3 method is first implemented and introduced in Bangladesh by local NGO MATI Bangladesh. Mostly they are doing work by implementing WC3 methods in the Brahmaputra Basin and other climate vulnerable areas with the support of Caritas Luxembourg. MATI is creating awareness into field level to lawmakers level by spreading the knowledge. Also, it's working on various adaptation programs.

Overall WC3 is a way to get climate resilience by removing the darkness about climate knowledge.

মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০১৭

Shame!! BBF !! Assets are not toy to play with || Bangladeshi bodybuilder banned for life for being a winner ||




আমাদের নিউজ আওয়ার নিউজ পোর্টাল এর সম্পাদক তারেক ভাই একটা কথা বলেছেন এই ব্যাপারটা শুনে, ""এদেশের গুণী মানুষেরা সবাই কি বেয়াদব, নাকি এদেশ গুণীদের কদর করতে জানে না? কথায় বলে যে দেশে গুণীর কদর নাই, সেদেশে গুণী জন্মায় না। কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যাচ্ছে গুণীরা বেহায়ার মতো জন্ম নিয়েই যাচ্ছে, আর দেশ একের পর এক তাদের বেইজ্জতি করেই যাচ্ছে ""।

আসলেই আমরা বেহায়া জাতি। আবার সাথে বেহায়া দর্শক ও। চেয়ারে বসে কিছু আবুল তাদের ইচ্ছায় যা মন চায় করে যাচ্ছে আর আমরা চেয় চেয় দেখছি। ভাজ্ঞিস কেউ পপ কর্ন বেচতে চলে আসে না আমাদের এই তাকিয়ে থাকার সময়। নাইলে ব্যাটা আমাদের সব টাকা লুটে নিতো পপকর্ন বেচে। 


একটা ছেলে নিজের প্রচেষ্টায় দেশের জণ্য গর্ব বয়ে নিয়ে এলো। প্রথম কেউ আমাদের দেশের জন্য বল্ডি বিল্ডিং এর মত প্রতিযোগীতায় ইন্টার ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ান হয়ে আসলো, যে কিনা ২০১৫ সালের মিঃ বাংলাদেশ ও ছিলো তাকে বাংলাদেশ বডি বিল্ডিং ফেডারেশন এক কথা বিনা সতর্কীকরন ব্যান করে দিলো সারা জীবনের জন্য। বাহ!! চমৎকার।

মামার বাড়ির আবদার বলে কথা।

তাদের ভাষ্য হচ্ছে হাসিব হোলি নামের এই ক্রিয়াবিদ তাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে যায় নি তাই তাকে আজীবন ব্যান করেছে তারা। আরে ভাই যে মানুষটা এক সময় আপনার জন্য আরো বেশী সম্মান বয়ে আনতে পারে তাকে কেয়ার করে যত্ন করে সাম্নের জন্য প্রস্তুত না করে ব্যান ব্যান খেলার অধিকার কে দিছে! এখানে ব্যাক্তিগত ব্যাপার কেন আসে? কেনো দেশের ভবষ্যত এর জন্য কাজ করা যায় না একবার। কেনো বার বার প্রতিভা গুলোকে অকালে অযত্নের সম্মখীন হতে হয়। কেনো মাঝে মাঝে আমরা উজ্জ্বল নক্ষত্র গুলোকে ঝড়ে পরতে দেখি!!

জয় হোক মামদোবাজীর। জয় হোক অসুস্থ রাজনীতির।

News: Click Here.

মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

I wish to be a truck driver someday

একজম ঘাতক খুনী ট্রাক ড্রাইভার এর কারনে যখন আমরা তারেক মাসুদ এর মত একজন নির্মাতাকে হারিয়েছিলাম, সাথে মিশুক মুনির এর মত চিত্রগ্রাহক হারিয়েছিলাম আমরা শোকে স্তন্ধ হয়ে গিয়ে মনে মনে ভেবেছিলাম হয়তো সিনেমা দেখছি দুঃখের সিন চলছে। হয়তো একটু পর সিনেমা শেষ হয়ে যাবে। সাংবাদিকরা নির্মাতাকে জিজ্ঞাসা করবে এমন গভির শোক ভরা অর্থবহ চলচিত্র নির্মানের পর আপনার অনুভূতি কি? আমরা সে দিন বলে উঠিনি ধর্মঘট এর ডাক দিলাম । রাস্থা হোক বা চলচিত্র। আমরা শোক কাটিয়ে ঊঠে আবার আর একজন তারক মাসুদের খোজে বুক বেধেছিলাম। এর এক জন মিশুক মুনিরের চোখে নতুন ফ্রেম দেখার স্বাদ করেছিলাম। এখনো সেই খোজ চলেই যাচ্ছে কিন্তু আমাদের খোজের শেষ আর হয়না। আর তো মাটির ময়না ঊড়ে না আকাশে।

অবশেষে এত দিন পর মহামান্য হাই কোর্ট রায় দিলেন সেই ঘাতক ট্রাক ড্রাইভার এর বিপক্ষে । না না মৃত্য দন্ড নয়। মাত্র ১৪ বছরের কারাবাস। এখনো জানি না সেই ১৪ বছরেও কি আমরা আমাদের নতুন এক তারেক বা মিশুক এর খোজ পাবো কিনা। তবু নুকে আশার দেখা মিল্লো। যাক কিছুটা বিচার তো পেয়েছে বাংলা চলচিত্র মেধার কান্ডারিরা। হয়তো এবার চালকরা হবে আরো সচেতন। নাম না জানা আরো অনেক প্রতিভাকে হয়তো অসময়ে হারানোর ভয় থেকে আমরা মুক্তি পাবো। ক্যাথ্রিন মাসুদ ও হয়তো তেমন্টা ভেবে সিদিন রাতে একটু শান্তিতেই ঘমিয়েছিলেন। আজ হঠাত কোন কথা বার্তা না বলে সেই ঘাতকের আশে পাশের পুরানো আর নতুন সব ঘাতকরা মিলে দেশে যানবাহন ধর্মঘট ডেকে অচল করে দেওয়ার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হলো। ভাংচুর করলো। মানূষকে কষ্টা দিয়ে নির্মম হাসি হেসে দেখালো তাদের ক্ষমতা কম নয়। আর আমাদের প্রশাসন থেকে সে বিষয়ে কোন দরকারি পদক্ষেপ বা ঘোষনা দেখতেই পেলাম না। আহা কান্ডারি। কি ভুল যে করলাম। এত কষ্ট না করে ট্রাক ড্রাইভার হলেই তো হতো। এক দিন আমার জন্য দেশ অচল হতেই পারতো।




সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

Use of Improved cook stove and retained heat cooker in Bangladesh

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা  ইউএসএআইডি’র ক্যাটালাইজিং ক্লিন এনার্জি ইন বাংলাদেশ প্রকল্প, জার্মানি ভিত্তিক উন্নয়ন সহযোগী জিআইজেড ও আন্তর্জাতিক মৎস্য গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশের যৌথ উদ্যোগে  পরিবেশ বান্ধব উন্নত চুলা ও রিটেইনড হিট কুকারকে জনপ্রিয় করার লক্ষে  ভোলার জেলা পরিষদে একটি আঞ্চলিক পর্যায়ের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে



ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে এবং ওয়ার্ল্ডফিশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন ইকোফিশ প্রকল্পের সুবিধাভোগী ভোলা জেলার ৪০ টি জেলে পরিবারকে  পরীক্ষামূলকভাবে  বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব উন্নত চুলা প্রদান করা হবে ।   সিসিইবি এ বিষয়ে যাবতীয় কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে । এ বিষয়ে ইকোফিশ প্রকল্পের জীবিকা ও সহনশীলতা বিষয়ক বিজ্ঞানী মারটিন ভ্যান ব্রাকেল বলেন “ জলবায়ু- সহিষ্ণু এ প্রযুক্তি জালানি ও রান্নার সময় দুইই বাঁচাবে । এতে করে দীর্ঘ মেয়াদে এ প্রযুক্তি ব্যবহারে দরিদ্র পরিবারগুলো আর্থিকভাবে লাভবান হবার পাশাপাশি তাদের উৎপাদনশীলতাও বাড়বে “ । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রিটেইনড হিট কুকার ব্যবহারে রান্নার সময় প্রায় ৫০ ভাগ পর্যন্ত কম লাগে ।

|| For English Please Click and Read ||

রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

সুয়া উড়িলো উড়িলো জীবেরও জীবন (Shua Urilo Urilo Jibero Jibon), প্রতিভাবান বন্ধু গর্বের বিষয়।




এবারো বই মেলায় আমার সেলিব্রেটি বন্ধু রাফিউজ্জামান সিফাত এর প্রথম উপণ্যাস ও প্রকাশ হয়েছে। গতবার তার প্রথম একক ছোট গল্প এর সংগ্রহ "সে আমার গোপোন" এর ব্যাপক নাড়াচাড়ার কম্পন মোটামুটি ফেসবুক প্রবাসী বেশীর ভাগ মানুষই বাঙালী পেয়েছে (বোনাস কিছু স্বদেশী বিদেশীও পেয়ে থাকতে পারে!)। এবং তার রিভিও ও অনেক ভালো পাওয়া গেছে সকলের কাছ থেকে।
এবার সে কিছুটা গোপনে (গোপন কারো সাথে) ফেসবুক থেকে বনবাস নিয়ে তার প্রথম উপন্যাস লিখে ফেলেছ এবং তা প্রকাশে চলে গিয়েছে কিন্তু কাক পক্ষিকে টের পেতে দেয়নি। তার ভক্তকুল অত্যান্ত আগ্রহের সাথে অপেক্ষায় ছিলো কি হয় কি হয়!!! অত:পর সে ঘোষনা দিলো এবার আমাদের ঘরের বই এর র‍্যাক এর জন্য পলিটিকাল রোমেন্স ধাচের উপন্যাস সুয়া উড়িলো উড়িলো জীবেরও জীবন - A Novel By Rafiuzzaman Sifat এসেছে বই মেলায়, সেই আদী প্রকাশনের প্রকাশে এবং তা প্রচুর পাঠক সমাগম ও পেয়েছে। 

তার উপন্যাস উপলক্ষে আমরা কয়জন বন্ধু মিলে হাল্কা গান বাজনা করে ফেললাম সেদিন। সেটা সকলের সাথে শেয়ার না করলে কেমনে কি!! তাই পাবলিশ ও করে দিছি ভিডিও করে। 


যারা অনলাইনে বইটি অর্ডার দিতে চান তারা রকমারি থেকে কিনতে পারেনঃ https://goo.gl/VMo1iJ
ফোনে অর্ডারঃ 01519521971 বা 01841115115

Facebook vs Emma Dyason and the nude protest against Trump

এমা ডাইসন নামের ১৯ বছরের এক তরুনী তার বাক স্বাধিনতা প্রকাশে ট্রাম্প বিরোধী নুড প্রটেস্টে করতে মাঠে নেমে গিয়ে ফেসবুকে বক্ষ উন্মুক্ত করে ট্রাম্প কাকার মুখ হতে বের হওয়া নানা মহান উক্তি হাতে নয়ে ছবি পোষ্ট করেচিলেন  তার তরুন মস্তিষ্ক কাজে লাগিয়ে।

আমার মত লোভি কিছু চোখ হয়তো তার উন্মুক্ত বক্ষ দেখে লোশনের খুজে চলে যেতাম সেই ভয়ে ফেসবুক বেচারা দিলো ছবি ডিলিট করে, সাথে পাঠিয়ে দিলো সাবধান বার্তা। এভাবে বুক পিঠ বা যৌনাঙ্গ দেখিয়ে প্রতিবাদ চলবে না। মাঠে নেমে বাছা মানব বন্ধন করো। লোশনের ব্যাবসা বাড়িও না। যদীও তাদের মাথায় এটা নেই সাধারন মানুষ ফেসবুকের সার্চ এ "চ", "দ", "ম", "F" সহ নানা বর্ন লিখতে যেয়ে ডানে বামে আগে একবার তাকিয়ে নেয়। লশনের ব্যাবসা কিন্তু এখনো কম যাচ্ছে না।



এমাও কিন্তু কম যান না। তিনি প্রতিবাদ করে পোষ্ট দিয়েছেন এই যে তিনি নুড হয়ে ফ্যামেলি নিউডিটি আইন ভোং করেন নাই। কারন তার নিপল টেপ দ্বারা ও নিন্মাঙ প্লে কার্ড দ্বারা ঢাকা ছিলো।

এমার ভাষ্য মতে,

“A day after posting the images, I received a message from Facebook informing me that they had removed the post due to “female nudity,” and also threatened to close my account.
“Due to the fact not one of these images showed any kind of nudity, as all important areas were covered, either by nipple tape, or the sign, I was outraged.”
ছেড়ির প্রতিবাদের ভাষা যেমনি হোক না কেনো (আমার বা কিছু আমাদের মত মানুষের জন্য চোমতকার ব্যাপার), তার যুক্তির তুলনা দিতে পারছি না।  ট্রাম্প কাকার মত উচু পদের মানুষের জন্য এর থেকে কি বেশী বলার আছে।

শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৭

Film Poster beside the corner wall

অটো বা রিকাশা থেকে আড় চোখে বা ফ্যাল ফ্যাল করে চলচিত্রের পোস্টার এর এর দিকে তাকিয়ে থাকার মজা অনেক। কখনো তার নান্দনিকতার সৌন্দর্য আমাদেরকে আনন্দ দেয় কখনো তার হাস্যকর উপস্থাপন দেয় বিনোদন (আটার বস্তা গরম মশলা নাইকারা নাই টাইপ ড্রেস পইরা মাঝে মাঝে এখনো আমাদের পৈচাশিক অনুভুতিও দেয়!!!)। 

রাস্তার পাশের দেয়াল গুলো জুড়ে ভুইত্তামারা সাইজের বিশাল বিশাল সব পোস্টার আজকাল ওয়াল পেপার এর কাজ করে দিচ্ছে, যার বেশীরভাগ রাজনীতিগত হলেও সর্বাধিক ভুইত্তামারা পোস্টার গুলো হলো চলোচিত্রের পোস্টার।

"পুড়ে যায় মন"  টাইপ নামের একটা মুভি পোস্টার দেখলাম যেখানে বিশাল পোস্টারের দুই তৃতীয় অংশ জুড়ে নাইকা পরিমনি চার ইঞ্চি ব্যাসার্ধের মিনি হাফ প্যান্ট পিন্দা মটরবাইক এর উপর বইসা ললিপপ চুষে আর আরেক হাতে অন্য একটা ললিপপ ধইরা আছে (পুরাই গ্যাং ব্যাং ব্যাপার সেপার)। পুড়ে যায় মন নামের সাথে এই ছবির ব্যাবহারের সামান্য কারন বুঝে উঠতে পারলাম না। নাম যদি হত "গিভ মি মাই ললিপপ", তাহলে ব্যাপারটা যেতো বেশী। আর এক পোস্টারে দেখলাম পরি আপার চেহারার থেকে কোমর ও বগল বেশী দেখা যায়, আর বিগ ব্রাদার নামের এক মুভির পোস্টারে দেখলাম মাহিয়া মাহি গোলাপি এক খন্ড নাইটি পিন্দা টাইনা ধইরা শুইয়া আছে।

মাঝে যখন চলচিত্রের কালো অধ্যায় চলছিলো তখন আমরা এ সব টাইপ সস্তা রস সমৃদ্ধ পোস্টার অবাধে দেখতাম, কিন্তু পাত্তা দিতাম না। কিন্তু আবার এই চলচিত্রের দিন বদলের সময়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নির্মাতারাও আবার যখন পুরানো ফর্মুলায় চলে যেতে চায় তখন ভালো লাগে না। অন্তত মুভির জন্য একটা রুচি সম্মত পোস্টার তো তারা বানাতেই পারে। যা আমাদের অনেক নির্মাতা করে দেখিয়েছেনও। তবে বাকিরা অয়ারবেনা কেনো!!!

যে কোন চলচিত্র শিল্পের জন্য চলচিত্রের পোস্টার অত্যান্ত দরকারি অস্ত্র। এর শিল্প মান পারে একটি কম বাজেটের কম প্রচারনা প্রাপ্ত চলচিত্রকে সকলের সামনে আকর্শনীয় করে তুলতে। আমাদের দেশের সত্তুরের বা আশির দশকের চলচিত্র গুলোর পোস্টারের শিল্পমান ছিলো অনেক উচ্চমানের। বর্তমানে কিছু সংখ্যক নির্মাতা হয়তোবা চেষ্টা চালিয়েছে কিন্তু তার মাঝে অনেক ক্ষেত্রেই কপি পেস্টের প্রবনতার দেখা মিলে। তবু যাই হোক, চাই আমাদের চলচিত্র ছড়িয়ে পরুক আরো ব্যাপকতা নিয়ে। কারন আমাদের নতুন নির্মাতা মুখ গুলোর চোখে এক টুকরা আগুনের দেখা মিলছে দিনকে দিন। তাতেই নাহয় পুড়ে যায় চলচিত্র নিয়ে আমাদের মনের হতাশা গুলো।

# BanglaFilmPoster #poster #Film

রবিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৭

শান্তির খোজে যাত্রায়

আমি বাসে করে যতটা সময় কাটাই ততটা সময় যদি কোন ফর্মুলা ওয়ান ড্রাইভার প্র‍্যাক্টিস করতো তার চাদে পৌছে যেতে খুব বেশী দিন লাগতো না।

বাসে এই জার্নি  করে বেড়ানোর কারনে আমার ডাক নাম কুড়িয়ার সার্ভিস হয়ে গিয়েছিলো বন্ধুমহলে। জার্নি ব্যাপারটা আমার খুব একটা সমস্যার সৃষ্টি করে না। আমি বিব্রতকর ভাবে মুখ হা করে যখন তখন বাসে ঘুমিয়ে এক্সাবার ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছি। সময় মত দেহের এলার্ম সিস্টেম আমাকে জাগিয়ে রাখে। কিন্তু সমস্যাটা হয় ভর দুপুরে বাসে চড়ে বসলে। ঘুমানী তখনো খুব একটা কষ্টের কিছু না কিন্তু সেই সময়টায় বাসের অপর যাত্রীরা আমার হা করে থাকা ঘুমন্ত ব্লাক হোলের দিকে তাকিয়ে থাকবে তা আমার খুব একটা পছন্দের বিষয় না। চাই না আমার নুরানী চেহারা খানা কোন ফেসবুক পেজ এর ফটোকমেন্ট বা ফটো ট্রোল হয়ে পরিসমাপ্তি হোক। তাই ক্লিপ বাইন্ধা হইলেও চোখ খুইলা রাখি। ক্লিপ জয়ুতু।

এই যাত্রা পথে আমার সময় কাটানোর সব থেকে প্রিয় বিষয় হলো নিজেকে একজন।ক্রিয়েটিভ ব্যাক্তি ভেবে নানা মুখি ক্রিয়েটিভ চিন্তা করা। বাসে ঝিমাইতে ঝিমাইতেই আমি অনেক স্ক্রিপ্ট ও বহু প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত ৪র্থ মাত্রার ফেসবুক স্ট্যাটাস সাজিয়েছি। মানুষে পাত্তা।না দিলেও আমি মনে সিরাম শান্তি অনুভব করেছি। এমন ক্রিয়েটিভ সিব ব্যাপার যখন মাথায় আসে না তখন আপাতত গান শুনে বা মানুষের অনলাইন কৃত্তিকালাপ দেখে সময় পাড় ছাড়া কোন উপায় থাকে না। মাঝে মাঝে অবশ্য ট্রাফিক জ্যাম এর সার্কাস ও দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু তা আমার চোখের ক্লিপ খুইলা ফেলার চেষ্টা করে দেখে আপাতত তার থেকে সাবধান থাকার চেষ্টা চালাই।

এমন অবস্থায় আমার অন্যতম প্রিয় কাজ হচ্ছে আশে পাশের মানুষ দেখা বা মানুষ খুজে বেড়ানো। দুইটা জিনিসই আমি ছোট কাল থেকে পছন্দ করি। আমার না লেখা হাজার গল্পের লক্ষ লক্ষ চরিত্র আমাকে ঘিরে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে ভাবতেই ভালো লাগা সৃষ্টি হয়। মানুষ খুজে বেড়ানোর মাঝে অন্যতম প্রধান মহা হচ্ছে তাদের মাঝে লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্য খুজে পাওয়া। সভাবতই আমি রাসায়নিক বা মানুষিক বিক্রিয়া ঘঠিত (মানুষিক বিকৃতি নহে) কারনে অপর লিঙের সৌন্দর্য খুজে পেতেই ভালো লাগে বেশী। ভাই বিশ্বাস রাখতে পারেন আমি কওন কুনজর বা খারাও ঊদ্দ্যেশ্য নিয়ে তাকাই না। বিশ্বাস করা না করা আপনাদের ব্যাপার।

এটা আশ্বস্ত করতে পারি। আমি চোখে চোখে রেপ করে ফেলার মানুষ না। আর এতো পার্ভাট ও না যে মেয়ে মানুষের দেহ অবলোকন এর অপেক্ষায় বুভুক্ষ কাটাই। মাঝে মাঝে এমন সুন্দর মূহূর্ত গুলো আমি কিছু পুরুষ মানুষদের মাঝেও দেখি তখন সেই সৌন্দর্য  টুকুও অনুভব করার চেষ্টা করি। আবারো বলতেছি আমি ওই টাইপের ছেলেও না। সেই একই ব্যাপার বিশ্বাস করা না করা আপনাদের ব্যাপার।
আমি নিজেকে আগেই জোড় পূর্বক প্রতিভাধর সৃষ্টিশীল মানুষ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা চালিয়ে ফেলেছি। প্রতিভার মাত্রা নিন্ম মানের হলেও আমি সন্তষ্ট। তাই আমি নিজেকে আরো ভাবুক ও সৃষ্টিশীল ভাবতে মানুষ ও মানুবিক সৌন্দর্য নিয়ে ভাবনার ব্যকুল চেষ্টা করি। কখনো কারো ঠোটের কোনার এক টুকরো হাসির ছায়ায় আমার ভাবনা আটকে যায়, কখনোবা কারো চোখের এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখায় আমার চোখ আটকে যায়। কিছু সময় হয়তো আমি গাড়ির চলন্ত বাতাসে ঊড়তে থাকা কারো চুল নিয়ে গল্প বেধে ফেলি।

আজ যেমন আমি বাজার থেকে ভেজা চুল নিয়ে এক জোড়া বিষন্ন চোখ আমার সোজা মহিলা সিটে বসে ছিলো। জানি না বারবার সে কোথায় হারিয়ে যাচ্ছিলো। তবু নিষ্পাপ চাহনিতে আমিও বিষন্ন হয়ে গেলাম। শুধু তাকিয়ে থাকা তার ব্যাস্ত দুই চোখের প্রশ্ন গুলোর মাঝে। সেই প্রশ্নর উত্তর হয়তো আমাদের বিসিএস প্রশ্ন কমিটিও জানেনা। বার দুই শুধু আমার বিষন্ন চাহনির দিকে তাকিয়ে থেকে হঠাত মাঝ রাস্তায় কোথায় হারিয়ে গেলো। তাকিয়েও দেখলো নাবতার খুজতে থাকা প্রশ্নের উত্তর গুলো এক জোড়া অপরিচিত চোখো খুজে বেড়াচ্ছে। হয়তো এক টুকরো শান্তির খোজে।