মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

I wish to be a truck driver someday

একজম ঘাতক খুনী ট্রাক ড্রাইভার এর কারনে যখন আমরা তারেক মাসুদ এর মত একজন নির্মাতাকে হারিয়েছিলাম, সাথে মিশুক মুনির এর মত চিত্রগ্রাহক হারিয়েছিলাম আমরা শোকে স্তন্ধ হয়ে গিয়ে মনে মনে ভেবেছিলাম হয়তো সিনেমা দেখছি দুঃখের সিন চলছে। হয়তো একটু পর সিনেমা শেষ হয়ে যাবে। সাংবাদিকরা নির্মাতাকে জিজ্ঞাসা করবে এমন গভির শোক ভরা অর্থবহ চলচিত্র নির্মানের পর আপনার অনুভূতি কি? আমরা সে দিন বলে উঠিনি ধর্মঘট এর ডাক দিলাম । রাস্থা হোক বা চলচিত্র। আমরা শোক কাটিয়ে ঊঠে আবার আর একজন তারক মাসুদের খোজে বুক বেধেছিলাম। এর এক জন মিশুক মুনিরের চোখে নতুন ফ্রেম দেখার স্বাদ করেছিলাম। এখনো সেই খোজ চলেই যাচ্ছে কিন্তু আমাদের খোজের শেষ আর হয়না। আর তো মাটির ময়না ঊড়ে না আকাশে।

অবশেষে এত দিন পর মহামান্য হাই কোর্ট রায় দিলেন সেই ঘাতক ট্রাক ড্রাইভার এর বিপক্ষে । না না মৃত্য দন্ড নয়। মাত্র ১৪ বছরের কারাবাস। এখনো জানি না সেই ১৪ বছরেও কি আমরা আমাদের নতুন এক তারেক বা মিশুক এর খোজ পাবো কিনা। তবু নুকে আশার দেখা মিল্লো। যাক কিছুটা বিচার তো পেয়েছে বাংলা চলচিত্র মেধার কান্ডারিরা। হয়তো এবার চালকরা হবে আরো সচেতন। নাম না জানা আরো অনেক প্রতিভাকে হয়তো অসময়ে হারানোর ভয় থেকে আমরা মুক্তি পাবো। ক্যাথ্রিন মাসুদ ও হয়তো তেমন্টা ভেবে সিদিন রাতে একটু শান্তিতেই ঘমিয়েছিলেন। আজ হঠাত কোন কথা বার্তা না বলে সেই ঘাতকের আশে পাশের পুরানো আর নতুন সব ঘাতকরা মিলে দেশে যানবাহন ধর্মঘট ডেকে অচল করে দেওয়ার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হলো। ভাংচুর করলো। মানূষকে কষ্টা দিয়ে নির্মম হাসি হেসে দেখালো তাদের ক্ষমতা কম নয়। আর আমাদের প্রশাসন থেকে সে বিষয়ে কোন দরকারি পদক্ষেপ বা ঘোষনা দেখতেই পেলাম না। আহা কান্ডারি। কি ভুল যে করলাম। এত কষ্ট না করে ট্রাক ড্রাইভার হলেই তো হতো। এক দিন আমার জন্য দেশ অচল হতেই পারতো।




সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

Use of Improved cook stove and retained heat cooker in Bangladesh

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা  ইউএসএআইডি’র ক্যাটালাইজিং ক্লিন এনার্জি ইন বাংলাদেশ প্রকল্প, জার্মানি ভিত্তিক উন্নয়ন সহযোগী জিআইজেড ও আন্তর্জাতিক মৎস্য গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশের যৌথ উদ্যোগে  পরিবেশ বান্ধব উন্নত চুলা ও রিটেইনড হিট কুকারকে জনপ্রিয় করার লক্ষে  ভোলার জেলা পরিষদে একটি আঞ্চলিক পর্যায়ের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে



ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে এবং ওয়ার্ল্ডফিশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন ইকোফিশ প্রকল্পের সুবিধাভোগী ভোলা জেলার ৪০ টি জেলে পরিবারকে  পরীক্ষামূলকভাবে  বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব উন্নত চুলা প্রদান করা হবে ।   সিসিইবি এ বিষয়ে যাবতীয় কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে । এ বিষয়ে ইকোফিশ প্রকল্পের জীবিকা ও সহনশীলতা বিষয়ক বিজ্ঞানী মারটিন ভ্যান ব্রাকেল বলেন “ জলবায়ু- সহিষ্ণু এ প্রযুক্তি জালানি ও রান্নার সময় দুইই বাঁচাবে । এতে করে দীর্ঘ মেয়াদে এ প্রযুক্তি ব্যবহারে দরিদ্র পরিবারগুলো আর্থিকভাবে লাভবান হবার পাশাপাশি তাদের উৎপাদনশীলতাও বাড়বে “ । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রিটেইনড হিট কুকার ব্যবহারে রান্নার সময় প্রায় ৫০ ভাগ পর্যন্ত কম লাগে ।

|| For English Please Click and Read ||

রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

সুয়া উড়িলো উড়িলো জীবেরও জীবন (Shua Urilo Urilo Jibero Jibon), প্রতিভাবান বন্ধু গর্বের বিষয়।




এবারো বই মেলায় আমার সেলিব্রেটি বন্ধু রাফিউজ্জামান সিফাত এর প্রথম উপণ্যাস ও প্রকাশ হয়েছে। গতবার তার প্রথম একক ছোট গল্প এর সংগ্রহ "সে আমার গোপোন" এর ব্যাপক নাড়াচাড়ার কম্পন মোটামুটি ফেসবুক প্রবাসী বেশীর ভাগ মানুষই বাঙালী পেয়েছে (বোনাস কিছু স্বদেশী বিদেশীও পেয়ে থাকতে পারে!)। এবং তার রিভিও ও অনেক ভালো পাওয়া গেছে সকলের কাছ থেকে।
এবার সে কিছুটা গোপনে (গোপন কারো সাথে) ফেসবুক থেকে বনবাস নিয়ে তার প্রথম উপন্যাস লিখে ফেলেছ এবং তা প্রকাশে চলে গিয়েছে কিন্তু কাক পক্ষিকে টের পেতে দেয়নি। তার ভক্তকুল অত্যান্ত আগ্রহের সাথে অপেক্ষায় ছিলো কি হয় কি হয়!!! অত:পর সে ঘোষনা দিলো এবার আমাদের ঘরের বই এর র‍্যাক এর জন্য পলিটিকাল রোমেন্স ধাচের উপন্যাস সুয়া উড়িলো উড়িলো জীবেরও জীবন - A Novel By Rafiuzzaman Sifat এসেছে বই মেলায়, সেই আদী প্রকাশনের প্রকাশে এবং তা প্রচুর পাঠক সমাগম ও পেয়েছে। 

তার উপন্যাস উপলক্ষে আমরা কয়জন বন্ধু মিলে হাল্কা গান বাজনা করে ফেললাম সেদিন। সেটা সকলের সাথে শেয়ার না করলে কেমনে কি!! তাই পাবলিশ ও করে দিছি ভিডিও করে। 


যারা অনলাইনে বইটি অর্ডার দিতে চান তারা রকমারি থেকে কিনতে পারেনঃ https://goo.gl/VMo1iJ
ফোনে অর্ডারঃ 01519521971 বা 01841115115

Facebook vs Emma Dyason and the nude protest against Trump

এমা ডাইসন নামের ১৯ বছরের এক তরুনী তার বাক স্বাধিনতা প্রকাশে ট্রাম্প বিরোধী নুড প্রটেস্টে করতে মাঠে নেমে গিয়ে ফেসবুকে বক্ষ উন্মুক্ত করে ট্রাম্প কাকার মুখ হতে বের হওয়া নানা মহান উক্তি হাতে নয়ে ছবি পোষ্ট করেচিলেন  তার তরুন মস্তিষ্ক কাজে লাগিয়ে।

আমার মত লোভি কিছু চোখ হয়তো তার উন্মুক্ত বক্ষ দেখে লোশনের খুজে চলে যেতাম সেই ভয়ে ফেসবুক বেচারা দিলো ছবি ডিলিট করে, সাথে পাঠিয়ে দিলো সাবধান বার্তা। এভাবে বুক পিঠ বা যৌনাঙ্গ দেখিয়ে প্রতিবাদ চলবে না। মাঠে নেমে বাছা মানব বন্ধন করো। লোশনের ব্যাবসা বাড়িও না। যদীও তাদের মাথায় এটা নেই সাধারন মানুষ ফেসবুকের সার্চ এ "চ", "দ", "ম", "F" সহ নানা বর্ন লিখতে যেয়ে ডানে বামে আগে একবার তাকিয়ে নেয়। লশনের ব্যাবসা কিন্তু এখনো কম যাচ্ছে না।



এমাও কিন্তু কম যান না। তিনি প্রতিবাদ করে পোষ্ট দিয়েছেন এই যে তিনি নুড হয়ে ফ্যামেলি নিউডিটি আইন ভোং করেন নাই। কারন তার নিপল টেপ দ্বারা ও নিন্মাঙ প্লে কার্ড দ্বারা ঢাকা ছিলো।

এমার ভাষ্য মতে,

“A day after posting the images, I received a message from Facebook informing me that they had removed the post due to “female nudity,” and also threatened to close my account.
“Due to the fact not one of these images showed any kind of nudity, as all important areas were covered, either by nipple tape, or the sign, I was outraged.”
ছেড়ির প্রতিবাদের ভাষা যেমনি হোক না কেনো (আমার বা কিছু আমাদের মত মানুষের জন্য চোমতকার ব্যাপার), তার যুক্তির তুলনা দিতে পারছি না।  ট্রাম্প কাকার মত উচু পদের মানুষের জন্য এর থেকে কি বেশী বলার আছে।