একজম ঘাতক খুনী ট্রাক ড্রাইভার এর কারনে যখন আমরা তারেক মাসুদ এর মত একজন নির্মাতাকে হারিয়েছিলাম, সাথে মিশুক মুনির এর মত চিত্রগ্রাহক হারিয়েছিলাম আমরা শোকে স্তন্ধ হয়ে গিয়ে মনে মনে ভেবেছিলাম হয়তো সিনেমা দেখছি দুঃখের সিন চলছে। হয়তো একটু পর সিনেমা শেষ হয়ে যাবে। সাংবাদিকরা নির্মাতাকে জিজ্ঞাসা করবে এমন গভির শোক ভরা অর্থবহ চলচিত্র নির্মানের পর আপনার অনুভূতি কি?
আমরা সে দিন বলে উঠিনি ধর্মঘট এর ডাক দিলাম । রাস্থা হোক বা চলচিত্র। আমরা শোক কাটিয়ে ঊঠে আবার আর একজন তারক মাসুদের খোজে বুক বেধেছিলাম। এর এক জন মিশুক মুনিরের চোখে নতুন ফ্রেম দেখার স্বাদ করেছিলাম। এখনো সেই খোজ চলেই যাচ্ছে কিন্তু আমাদের খোজের শেষ আর হয়না। আর তো মাটির ময়না ঊড়ে না আকাশে।
অবশেষে এত দিন পর মহামান্য হাই কোর্ট রায় দিলেন সেই ঘাতক ট্রাক ড্রাইভার এর বিপক্ষে । না না মৃত্য দন্ড নয়। মাত্র ১৪ বছরের কারাবাস। এখনো জানি না সেই ১৪ বছরেও কি আমরা আমাদের নতুন এক তারেক বা মিশুক এর খোজ পাবো কিনা। তবু নুকে আশার দেখা মিল্লো। যাক কিছুটা বিচার তো পেয়েছে বাংলা চলচিত্র মেধার কান্ডারিরা। হয়তো এবার চালকরা হবে আরো সচেতন। নাম না জানা আরো অনেক প্রতিভাকে হয়তো অসময়ে হারানোর ভয় থেকে আমরা মুক্তি পাবো। ক্যাথ্রিন মাসুদ ও হয়তো তেমন্টা ভেবে সিদিন রাতে একটু শান্তিতেই ঘমিয়েছিলেন।
আজ হঠাত কোন কথা বার্তা না বলে সেই ঘাতকের আশে পাশের পুরানো আর নতুন সব ঘাতকরা মিলে দেশে যানবাহন ধর্মঘট ডেকে অচল করে দেওয়ার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হলো। ভাংচুর করলো। মানূষকে কষ্টা দিয়ে নির্মম হাসি হেসে দেখালো তাদের ক্ষমতা কম নয়। আর আমাদের প্রশাসন থেকে সে বিষয়ে কোন দরকারি পদক্ষেপ বা ঘোষনা দেখতেই পেলাম না।
আহা কান্ডারি। কি ভুল যে করলাম। এত কষ্ট না করে ট্রাক ড্রাইভার হলেই তো হতো। এক দিন আমার জন্য দেশ অচল হতেই পারতো।